শুভ নববর্ষ ১৪২৫
পহেলা বৈশাখ, বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব। সেইসাথে বৃষ্টিমুখর একটি বিকেল। ১৪২৫ এর প্রথম দিনটিকে এভাবেই বরণ করে নিলো বর্ষা।
রমনা বটমূল |
ভোর ৭ টা। পাখির কিচিরমিচির এর সাথে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র
রমনার বটমুলে শুরু হয় মানুষের আনাগোনা। লাল শাড়ি, হাতে লাল কাচের চুড়ি, কপালে লাল টিপ আর
মাথায় হরেক রকম ফুলের খোপা ; বাঙ্গালি নাড়ীকে ঠিক এমন রূপেই দেখতে পাওয়া যায় পহেলা
বৈশাখে। লাল-সাদা পাঞ্জাবির ভেতর যেন ছেলেরা উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠে নতুন করে।
ভালোবাসায় সিক্ত বাঙ্গালী |
পুরাতন সকল গ্লানি মুছে
নতুন করে ভালোবাসায় সিক্ত হতে সকলে জড়ো হয় রমনার বটমূল কিংবা টিএসসি র চত্ত্বরে।
ছোট ছোট ছেলেমেয়ে গুলাকে দেখা যায় বাবা কিংবা মা’র হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে মেলা
প্রাঙ্গণের দিকে। হাতে, গালে আল্পনা এঁকে জানান দিয়ে রাখে, “আমিও একজন নতুন
মানুষ”।
সকাল সাড়ে ৯ টায় চারুকলা
থেকে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের
ছাত্রছাত্রীদের রাতজাগা অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হয় হাজারো মানুষে মুখোরিত প্রাঙ্গণ
দেখে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একত্রিত হইয়ে সকলে অংশগ্রহণ করে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
কেন এই মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কো স্বীকৃত, তারই জবাব খুঁজতে ডেনমার্ক, নিউ ওয়ার্ক থেকে
ছুটে আসেন পর্যটকরা। আইন শৃংখলার করা নিরাপত্তার বেষ্টনির মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে
শেষ হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন
জায়গায় পান্তা-ইলিশের পসরা বসতে দেখা যায়। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পহেলা বৈশাখকে
কেন্দ্র করে কন্সার্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এর মধ্যে অন্যতম ছায়ানট, রবীন্দ্র সরবর, টি এস সি, রমনার বটমূল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফুলার রোড, উত্তরা, শাহাবাগ চত্বরে ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
বিকেল সাড়ে ৫ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা |
দিন শেষে সকল অতীতকে ভুলে, নতুন করে শুরু
করার অঙ্গিকার নিয়ে বর্ষা এসে মনে করিয়ে দেয় বৈশাখ চলে এসেছে। সারাদিনের ক্লান্তি
শেষে বিকেলে এক পসলা বৃষ্টি নতুন করে উজ্জ্বিবীত করে প্রাণের শহর ঢাকাকে।
বছরের প্রতিটি দিন খুব
সুন্দর কাটুক। হিংসে, বিদ্বেষ, দুঃখ-কষ্টকে
বিদায় জানিয়ে পুর্নজীবিত হোক প্রতিটি মানুষের অন্তরআত্মা। চেষ্ঠা শক্তিকে পুঁজি
করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে শুরু হোক বাংলা ১৪২৫
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete